নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া মানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করা। যারা নেত্রীর সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন তারা কখনো দলের সদস্য পদ পাবেন না, আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়তে পারবেন না।
শনিবার (২ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, নেত্রী যাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছেন তারপর অভ্যন্তরীণ কোনো কোন্দল থাকতে পারে না। যারা আওয়ামী লীগ করবেন তাদের সবাইকে নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক বড় দল। যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন, দলকে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার স্বার্থে তাকে চরম মূল্য দিতে হবে। তারা কখনো আওয়ামী লীগের সদস্য পদ পাবেন না। নৌকায় চড়তে পারবেন না। বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে দল কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে যিনি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করেছেন আওয়ামী লীগে তার আর স্থান নেই বলেও জানান তিনি।
শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু। এছাড়া কর্মী সমাবেশে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমাসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।