ভাস্কর্যবিরোধী উগ্র মৌলবাদীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। তিনি বলেছেন, ‘যেখানেই এই মৌলবাদ পাবো, সেখানেই আমরা তাদের প্রতিহত করবো। তাদের এত স্পর্ধা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অপমান করেছে।’
রোববার (৬ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে ‘কুষ্টিয়ায় রাতের অন্ধকারে জাতির পিতার নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার নিন্দা ও প্রতিবাদ’ জানিয়ে দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, যুবলীগের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে, সারাদেশ থেকে মৌলবাদী শক্তিকে বিতাড়িত করবো । ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক যেভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য, হানাদার বাহিনীর থেকে মুক্ত করার জন্য, যুবকদের নিদর্শে দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আবারও সময় এসেছে, এই মৌলবাদ, রাজাকার যুদ্ধাপরাধী খালেদা-নিজামীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার। আজকে থেকে যুবসমাজকে শপথ নিতে হবে দেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রুপসা থেকে পাথুরিয়া, যেখানেই এই মৌলবাদ পাবো সেখানেই আমরা তাদের প্রতিহত করবো। তাদের এত স্পর্ধা আমাদের জাতির পিতাকে অপমান করেছে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করবো, যতদিন পর্যন্ত আইনগত ভাবে, যাদের নির্দেশে, যাদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হাত দেয়া হয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের বিচার করতে হবে।’
ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলে মৌলবাদীদের প্রতিহত করে দেশ থেকে বিদায় করা হবে বলেও হুশিয়ারী দেন নিক্সন চৌধুরী। তিনি বলেনে, এতদিন দেশের ভাস্কর্য কথা হয়নি, আজকে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য নিয়ে এত আন্দোলন, এত কথা। এদের ইন্দনদাতা কে? ঐ খালেদা জিয়া, ঐ তারেক জিয়া, ঐ জামাত-শিবির। এদের ইন্ধনদাতা খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জামায়াত-শিবির। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে রাজাকারের প্রজন্ম উগ্র মৌলবাদীদের চিরতরে বিতাড়িত করতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে মাঠে থাকবেন।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, মো. রফিকুল ইসলাম সৈকত জোয়ার্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, ঢাকা মহানগর উত্তর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, উত্তর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।