জেনিটাল ম্যাচমেকিং (GENITAL matchmaking) সম্পর্কে শুনেছেন? শল্যচিকিৎসায় বিশ্বের নতুন ট্রেন্ড। বাংলা বোঝাতে গেলে, ‘দুর্দান্ত ফিটিং’ বলা যায়! অবাক হচ্ছেন? ঠিকই ধরেছেন…যৌনসুখ দীর্ঘায়িত করতেই এমন সার্জারিতে মেতেছেন দম্পতিরা। সম্প্রতি ব্রিটেনে এই সার্জারি খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। মিলেছে দারুণ প্রতিক্রিয়াও। কী সেই প্রক্রিয়া? এই প্রক্রিয়ায় সার্জারির সাহায্য নিয়ে নারীর যোনিপথ (Vagina) আঁটসাট (Tightening) করা হয়। তেমনই পুরুষদের যৌনাঙ্গও প্রশস্ত করা হয়। যার ফলে সঙ্গমকাল দীর্ঘ হয়। সেই সঙ্গে আনন্দও থাকে দ্বিগুণ।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ চিকিৎসক লুইস গ্র্যান্সি জানান, সম্প্রতি তাঁদের কাছে একটি গবেষণা পত্র এসেছিল, যা অনুযায়ী , ফিটিং ভালো হলেই যৌনসুখ বাড়ে- এই তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। সেই সঙ্গে অর্গ্যাজমও ভালো হয়। ড. গ্র্যান্সির কথায়, অনেক পুরুষ আছেন যাঁরা শুধুমাত্র হস্তমৈথুনেই অভ্যস্ত। ফলে আসল সময় তাঁদের সমস্যা হয়। সহবাসের সময় মহিলাদের যোনিতে ঠিকমতো স্থান করে নিতে পারেন না। সেখান থেকে শারীরিক তৃপ্তি আসে না, বরং থাকে মানসিক অশান্তি। যৌনসুখ তখনই চূড়ান্ত উপভোগ্য হয় যখন যৌনাঙ্গ আকার নিয়ে কোনও সমস্যা থাকে না।
গ্র্যান্সি আরও বলেন, একটা বয়সের পর মেয়েদের ভ্যাজাইনার সংকোচন প্রসারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে আসে। অর্থাৎ সহবাসের সময় ভ্যাজাইনা প্রয়োজনের তুলনায় সংকুচিত হতে পারে না। এমনকী সন্তানের জন্মের পর ভ্যাজাইনার দেওয়াল আলগা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে লুব্রিক্যান্টও নষ্ট হয়ে যায়। সার্জারির সাহায্যে তা ফিরিয়ে আনা হয়। ফলে যৌনসুখ চরম হয়। এবং নারী-পুরুষ উভয়েই খুব খুশি থাকেন। তবে লকডাউনে প্রচুর ফোন এসেছে তাঁর কাছে, জানান গ্র্যান্সি। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ লকডাউনে অনেক সম্পর্কই তলানিতে এসে ঠেকেছিল। এবং তারপর এই শল্যচিকিৎসা সম্পর্কে জানার পর অনেকেই নাম লেখান। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়া পর থেকেই তাঁরা আবার সার্জারি শুরু করেছেন। মিলেছে খুব ভালো সাড়াও।