দ্বিতীয় ধাপে ৬১ পৌরসভা নির্বাচনের জন্য আগামী মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে ফরম বিতরণ শুরু করবে আওয়ামী লীগ। চলবে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা) সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে। এই সময়ে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রেজুলেশনে প্রস্তাবিত প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম ক্রয় করতে পারবেন।
যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে এবং কোনো ধরনের লোকসমাগম ছাড়া প্রার্থী নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় প্রার্থীকে অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
ঘোষিত তফসিলে ৬১ পৌরসভার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর (ইভিএম), নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও কেন্দুয়া (ইভিএম), কুষ্টিয়ার কুষ্টিয়া সদর, ভেড়ামারা, মিরপুর ও কুমারখালী (ইভিএম), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, নারায়ণগঞ্জের তারাব (ইভিএম), শরীয়তপুরের শরীয়তপুর (ইভিএম), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, গাইবান্ধার গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ, দিনাজপুরের দিনাজপুর, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, মাগুরার মাগুরা সদর (ইভিএম), ঢাকার সাভার (ইভিএম), দিনাজপুরের বিরামপুর ও বীরগঞ্জ (ইভিএম), নওগাঁর নজিপুর(ইভিএম), পাবনার ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর (ইভিএম), সাঁথিয়া, ঈশ্বরদী ও সুজানগর, রাজশাহীর কাকনহাট (ইভিএম), আড়ানী (ইভিএম) ও ভবানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া (ইভিএম), নাটোরের নলডাঙ্গা (ইভিএম), গুরুদাসপুর ও গোপালপুর।
আরো রয়েছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি (ইভিএম) ও শেরপুর, সিরাজগঞ্জের উলল্গাপাড়া ও বেলকুচি, সুনামগঞ্জের ছাতক ও জগন্নাথপুর (ইভিএম), পিরোজপুরের পিরোজপুর (ইভিএম), মেহেরপুরের গাংনী (ইভিএম), ঝিনাইদহের শৈলকূপা (ইভিএম), খাগড়াছড়ি (ইভিএম), বান্দরবানের লামা, নীলফামারীর সৈয়দপুর (ইভিএম), সিরাজগঞ্জের সিরাজগঞ্জ ও রায়গঞ্জ, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি (ইভিএম), কুমিলল্গার চান্দিনা (ইভিএম), ফেনীর দাগনভূঞা (ইভিএম), কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জ ও কুলিয়ারচর (ইভিএম), নরসিংদীর মনোহরদী (ইভিএম), ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, বগুড়ার সান্তাহার (ইভিএম), নোয়াখালীর বসুরহাট (ইভিএম) ও বাগেরহাটের মোংলাপোর্ট (ইভিএম)।
প্রসঙ্গত, দেশের তিন শতাধিক পৌরসভার মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ৬১টিতে ভোট হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ২০ ডিসেম্বর, বাছাই ২২ ডিসেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। ভোট ১৬ জানুয়ারি।
তিন শতাধিক পৌরসভার মধ্যে আরও প্রায় ১৭০ পৌরসভা ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন উপযোগী রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার চার ধাপে পৌর নির্বাচন করতে চায় কমিশন। প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভায় ইভিএমে ২৮ ডিসেম্বর ভোট হবে। জানুয়ারির শেষ দিকে তৃতীয় ও মধ্য ফেব্রুয়ারির চতুর্থ ধাপের ভোট হবে।
দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩৬ দিন সময় দিয়ে ভোটের তারিখ দেওয়া হয় ৩০ ডিসেম্বর। এক দিনে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়। বাকিগুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বিবেচনায় ও বিভিন্ন জটিলতা সেরে ভোট হয়।